ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

কক্সবাজারে উদ্ধার হওয়া দু’টি মায়া হরিণের ঠাঁই হলো শেখ মুজিব সাফারী পার্কে

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার ঘোনার চৌধুরী খামারের রহমত উল্লাহর বাড়ি থেকে দুইটি মায়া হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া মায়া হরিণ দুটির ঠাঁই হয়েছে চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে। ৪ ডিসেম্বর বিকালে হরিণ দুটি সাফারী পার্ক কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মা ও ছেলে হরিণ দুটিরই চিকিৎসা চলছে এবং সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাফারী পার্ক ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মাজহারুল ইসলাম।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহানের নেতৃত্বে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে একদল বনকর্মী ও পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু উখিয়ার ঘোনার চৌধুরী খামারের রহমত উল্লাহর বাড়ি অভিযান চালায়। এসব মা ও শাবক দুটি মায়া হরিণ উদ্ধার করা হয়।
বনবিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, স্থানীয় রহমত উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মা হরিণসহ শাবক ধরে পাচারের উদ্দেশ্যে বাড়ীতে আটক রেখেছিল।
বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার জাহান বলেন, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে মায়া হরিণ দুটি ( মা ও শাবক) উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মায়া হরিণ আটক রাখা ব্যক্তি রহমত উল্লাহকে আসামী করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সেইব দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
অ‌ভিযা‌নে আ‌রো উপ‌স্থিত ছি‌লেন, বাঘখালীর বিট কর্মকর্তা র‌বিউল ইসলাম ও রামু থানার একদল পুলিশ।
রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার আরও জানান, ৪ ডিসেম্বর বিকালে মা ও শাবক হরিণ দুটি ডুলাজাহারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডুলাহাজার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মাজহারুল ইসলাম বলেন, মা ও শাবক হরিণ দুটিরই চিকিৎসা চলছে এবং সুস্থ রয়েছে।
সাফারী পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মা ও শাবক হরিণ দুটিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মায়া হরিণ দুটি এখন সুস্থ।
এব্যাপারে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার চকরিয়া নিউজকে বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণে বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। মায়া হরিণ হচ্ছে বনের। বনের হরিণ আটক করে তা ঘরে পালনে কারো অধিকার নেই। কোন ব্যক্তি বন্য প্রাণী ধরে পালন করা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের জনগণের কাছে আমাদের অনুরোধ, কোন ব্যক্তি যাতে বন্যপ্রাণী লালন পালন তথা শিকার না করে। যদি কোন ব্যক্তি এ ধরণের কাজে জড়িত থাকে তাহলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণে বনবিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল সহ নানা ধরণের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: